রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের বিশ্বাস ছিল, বিদ্রোহের ঘটনায় তিনি ক্ষমা পেয়ে যাবেন। রুশ সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বাহিনীর যোদ্ধাদের নিয়ে মস্কো অভিমুখে যাত্রা করার ঘটনায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁকে ক্ষমা করে দেবেন।
রাশিয়ার কয়েকটি প্রতিবেদনের বরাতে ওয়াশিংটনভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক আইএসডব্লিউ (ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার) এমন দাবি করেছে।
আইএসডব্লিউ বলছে, ভাগনারের বিদ্রোহ, মস্কো দখল এবং সামরিক কমান্ডারদের উৎখাতের মধ্য দিয়ে পুতিনকে যে ব্যক্তিগতভাবে অপমান করা হলো, তা হয়তো প্রিগোশিন খুব একটা গুরুত্ব দেননি।
রাশিয়া ও ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ পর্যালোচনায় আইএসডব্লিউ আরও বলেছে, প্রিগোশিনের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয়েছে, তিনি পুতিনের প্রতি তাঁর আনুগত্য নিয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন।
কারণ, পুতিন তাঁর প্রতি অনুগতদের মূল্যায়ন করে থাকেন। অনুগত রুশ কর্মকর্তা ও সামরিক কমান্ডাররা ব্যর্থ হলেও তাঁদের নিয়মিত পুরস্কৃত করে থাকেন তিনি।
থিঙ্কট্যাংক প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, প্রিগোশিনের বিদ্রোহের ঘটনাটি অবাধ্যতার শামিল। যদিও তাঁর দাবি, রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য বজায় রেখেই তিনি বিদ্রোহ করেছেন।আইএসডব্লিউ মনে করে, কিছু ক্ষেত্রে সীমা লঙ্ঘনের ঘটনাও ঘটেছে।
ভাগনার রাশিয়ার হয়ে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধেও মস্কোর বড় সফলতা এসেছে বাহিনীটির হাত ধরে। তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে গত ২৩ জুন বিদ্রোহ ঘোষণা করেন প্রিগোশিন। ভাগনার যোদ্ধাদের নিয়ে মস্কো অভিমুখে যাত্রা করেন তিনি।
ভাগনার যোদ্ধারা দক্ষিণাঞ্চলীয় রাশিয়ার একটি শহর দখল করে নেয় এবং কয়েকটি রুশ বিমান ভূপাতিত করে। তখন ওই বিদ্রোহকে ‘পিঠে ছুরি মারার মতো’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন পুতিন।
0 Comments