নারী বিশ্বকাপের ফাইনাল শেষে পুরস্কার মঞ্চে ‘চুমো-কাণ্ডে’র পর বিপাকেই পড়েছেন স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। গতকাল ফিফা তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এর ফলে আজ স্পেনের ফুটবল ফেডারেশন এক বিশেষ সভার আয়োজন করে।
অনেকেই ধারণা করেছিলেন, এই সভা শেষে হয়তো স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন রুবিয়ালেস। কিন্তু পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। সভায় রুবিয়ালেস বলেছেন, ‘আমি পদত্যাগ করব না। কিছুতেই না।’
ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে নারী বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে স্পেন। ম্যাচ শেষে পুরস্কারমঞ্চে স্পেন নারী দলের খেলোয়াড় হেনি হেরমোসো পদক নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রুবিয়ালেস। সেই সময় তিনি হেরমোসোকে বেশ কিছুটা সময় আলিঙ্গনে জড়িয়ে রেখে পরে দুহাত দিয়ে মাথায় ধরে আচমকা ঠোঁটে চুমু দেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সেই মুহূর্তের ভিডিও ও ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে রুবিয়ালেসের আচরণ নিয়ে। শুরুতে সমালোচনাকারীদের ‘মূর্খ’ বলে বিষয়টি উড়িয়ে দেন রুবিয়ালেস। তিনি বলেছিলেন, ‘এটা ছিল স্বতঃস্ফূর্ত, স্নেহপূর্ণ একটি বিষয়। বিশেষ আনন্দের মুহূর্তে স্বতঃস্ফূর্ত এক ঘটনা এটি।’ পরে অবশ্য এক ভিডিও বার্তায় নিজের আচরণের জন্য রুবিয়ালেস ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
কিন্তু তাতেও সমালোচনা থামেনি। খোদ স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ রুবিয়ালেসের শাস্তি দাবি করেছেন, স্পেনের নারী ফুটবল লিগ ‘লিগা এফ’ কর্তৃপক্ষ এর মধ্যেই রুবিয়ালেসকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলে দেশটির জাতীয় স্পোর্টস কাউন্সিলে অভিযোগ করেছে
চুমো-কাণ্ডের আগে ৪৬ বছর বয়সী রুবিয়ালেস ফাইনালের শেষ বাঁশি বাজার পর ভিআইপি বক্সে বসে স্পেনের শিরোপা জয় উদ্যাপন করেন। সেখানে তিনি উদ্যাপনের সময় নিজের ঊরুসন্ধিতে হাত দেন। সেই সময় ভিআইপি বক্সে উপস্থিত ছিলেন স্পেনের রানি লেতিজিয়া ও তাঁর ১৬ বছর বয়সী মেয়ে। রুবিয়ালেসের এই কাণ্ড নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে।
তবে স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের আজকের বিশেষ সভায় ভিআইপি বক্সের ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন রুবিয়ালেস, ‘বক্সে যা ঘটেছে, এর জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে গিয়ে আমি আমার শরীরের ওই অংশটি ধরে ফেলেছিলাম। আমি এর জন্য রানির কাছে এবং অন্য যাঁরা এর জন্য খারাপ বোধ করেছেন, সবার কাছে ক্ষমা চাই।’
0 Comments