নাগরিকত্ব আইনের ‘বাউন্সার’, ‘ডাক’ করলেন কোহলি
ভারত জুড়ে চলছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিক্ষোভ। আসামে বেশ বড় আকারেই হচ্ছে এ বিক্ষোভ। সেই আসামের গুয়াহাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে ভারত। ফলে দেশের অন্যতম বড় ‘আইকন’ বিরাট কোহলিকে এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলতেই হতো। কোহলি যদিও এ নিয়ে বিশেষ কিছু বলেননি
আসামের গুয়াহাটিসহ বিভিন্ন শহরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে চলছে বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভের মধ্যেই সেখানে টি-টোয়েন্টি খেলতে গেছে ভারত, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয় নিয়ে দেশের অন্যতম বড় তারকা কিছু কথা বলবেন, আন্দোলনরত জনগণের পক্ষে মুখ খুলবেন, এমনটাই আশা করেছিলেন গুয়াহাটির লোকজন। তবে এ নিয়ে বিক্ষোভকারীদের মনে আশা সঞ্চার করার মতো কোনো কথা বলেননি কোহলি।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে নিজের অজ্ঞতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছেন ভারতের অধিনায়ক, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে আমি বিশেষ কিছু জানি না। মতামত প্রকাশ করার জন্য যতটুকু জানাশোনা থাকা লাগে, সেটা নেই আমার। আমি কিছু একটা বললে দেখা যাবে সেটা অন্যভাবে প্রচারিত হতে পারে। তাই যে জিনিস নিয়ে আমার জ্ঞান নেই, তা নিয়ে কথা বলে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ করতে চাই না।’ মিচেল স্টার্ক বা নিল ওয়াগনারের বাউন্সার যেন এভাবেই সামলান কোহলি!
ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচকে কেন্দ্র করে গুয়াহাটি জুড়ে জোরালো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাঠে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য কঠোর অবস্থান নিয়েছে আসাম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ)। স্টেডিয়ামে দর্শকদের পোস্টার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে ঢোকায় বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ব্যানার, বার্তাসংবলিত কাগজ, স্কেচ পেন, রং, তুলি, মার্কার বা পেনসিল নিয়ে আজ মাঠে ঢুকতে পারবেন না দর্শকেরা। এমনকি ক্রিকেট মাঠের অতি পরিচিত ‘চার’ ও ‘ছক্কা’ প্ল্যাকার্ডেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আজ গুয়াহাটিতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টির পর আগামী ৭ তারিখে ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে হবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি। শেষ টি-টোয়েন্টি আয়োজন করা হবে পুনেতে, আগামী দশ তারিখে।
See translation
0
People reached
0
Engagements
0 Comments