তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০২০ সাল সম্ভাবনাময় হবে। ছবি: রয়টার্স
লক্ষ্য যদি মহাকাশ হয় এবং কাঁড়ি কাঁড়ি অলস টাকা থাকে, তবে ২০২০ সালটা আপনার লক্ষ্যপূরণের বছর হতে পারে। অবশ্য মহাকাশযাত্রায় অনীহা থাকলেও বছরটা আপনার হতে পারে। কেমন যেন জ্যোতিষীদের ভাষায় লেখা এগোচ্ছে। অবশ্য ভবিষ্যদ্বাণী তো জ্যোতিষীদেরই কাজ। কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখে নেওয়া যাক, ২০২০ সালের ঝুলিতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কী কী থাকতে পারে।
মহাকাশভ্রমণ সহজ হবে
মহাকাশভ্রমণের জন্য অন্যতম বছর হবে ২০২০ সাল। জানিয়েছেন এভিয়েশন উইক অ্যান্ড স্পেস টেকনোলজির জ্যেষ্ঠ সম্পাদক গাই নরিস। যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি দুটি মহাকাশযান তৈরি করেছে। সবকিছু পরিকল্পনামতো হলে চলতি বছরেই সাত নভোচারীর একটি দল বোয়িং সিএসটি-১০০ স্টারলাইনারে চড়ে পরীক্ষামূলকভাবে মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
এদিকে বছরের শুরুতে স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্যাপসুলের চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা। পরীক্ষা সফল হলে মানুষ নিয়ে মহাকাশে ভ্রমণসেবা দেবে বলে জানিয়েছে স্পেসএক্স। এদিকে যাত্রী নিয়ে মহাকাশভ্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ব্লু অরিজিন ও ভার্জিন গ্যালাকটিক। ইতিমধ্যে আড়াই লাখ ডলারে ৬০০ টিকিট বিক্রি করেছে শেষোক্ত প্রতিষ্ঠানটি।
পরিবেশ রক্ষায় প্রযুক্তি
বছর বছর যে অব্যাবহৃত ফোনের সংখ্যা বাড়ছে, তা জানাতে পরিসংখ্যানের প্রয়োজন নেই। এসব অব্যবহৃত পড়ে থাকা ফোন পরিবেশদূষণের অন্যতম কারণে পরিণত হয়েছে। তাই পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে এসেছে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতারাও। পরিবেশবান্ধব উপায়ে ফোন উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান। এতে উৎপাদনের প্রক্রিয়া হবে পরিবেশবান্ধব এবং সহজে নষ্ট ফোন সারানো যাবে। ফোন ছাড়াও টিভি, ওয়াশিং মেশিন, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ইত্যাদি যন্ত্র একই পদ্ধতিতে তৈরি করা হবে। টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান ভোডাফোন জানায়, ২০২৩ সালের মধ্যে তাদের নেটওয়ার্ক নবায়নযোগ্য জ্বালানির সাহায্যে চলবে।
সবকিছুতে নমনীয় পর্দা
স্যামসাংয়ের প্রথম ফোল্ডেবল পর্দার স্মার্টফোন নিয়ে অভিযোগ কম ছিল না। সে তুলনায় মটোরোলা রেজর কিছুটা ইতিবাচক সারাব তৈরি করেছে। এ বছর নমনীয় পর্দার ট্যাবলেট আনার কথা জানিয়েছে স্যামসাং। অন্যদিকে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টিসিএল চলতি বছরেই নমনীয় পর্দার ফোল্ডেবল স্মার্টফোন, স্মার্ট স্পিকার, ফ্রিজের দরজা ইত্যাদি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে।
ফাইভ–জি নেটওয়ার্কের প্রসার
গত বছরের শেষের দিকে ফাইভ–জি নেটওয়ার্ক চালু করে প্রায় ২২ দেশের ৪০ অপারেটর। এ বছর শেষে তা বেড়ে গিয়ে ১২৫ অপারেটর হবে বলে জানায় একটি টেলিযোগাযোগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
উন্নত হবে কোয়ান্টাম কম্পিউটার
গুগল গত অক্টোবরে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের সাহায্যে ২০০ সেকেন্ডে এমন কাজ করার দাবি জানায়, সুপারকম্পিউটারের যা করতে ১০ হাজার বছর লেগে যাবে। কেউ কেউ গাঁইগুঁই করলেও অনেক বিশেষজ্ঞ ঘটনাটিকে বড় অর্জন হিসেবেই দেখেছেন। তা ছাড়া, ২০২০ সালে সবাইকে কোয়ান্টাম কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ করে দেবে বলে জানিয়েছে গুগল। এদিকে আইবিএম, রিগেটি ও অয়ন-কিউয়ের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও বসে নেই। সব মিলিয়ে এ বছরে কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি দেখা যেতে পারে। সূত্র: বিবিসি
0 Comments